ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা আহমেদ শরীফ। বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও খল অভিনেতা হিসেবেই সফলতা পান
আহমেদ শরীফ। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রতিষ্ঠার সময়ে প্রথম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আহমেদ শরীফ। এরপর আরও দুই মেয়াদে সাধারণ
সম্পাদক এবং চার মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন গুণী এই অভিনেতা।
কিন্তু গুণী এই অভিনেতা অনেক দিন ধরেই তিনি সিনেমা পাড়া থেকে দূরে রয়েছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পরিবারসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেই গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির স্বপ্নদ্রষ্টা আমি। মনে হয়েছিলো, আমাদের (শিল্পীদের) কথা বলার জায়গা থাকা উচিত। আমাদের ভালো-মন্দ বলার জন্য একটি প্ল্যাটফর্মের দরকার ছিলো। সেজন্যই রাজ্জাক সাহেব, এটিএম শামসুজ্জামান, খলিল ভাইসহ অনেকের সঙ্গে আলাপ করে তাদের সহযোগিতায় এই সংগঠন (শিল্পী সমিতি) দাঁড় করিয়েছিলাম। আমরা দায়িত্বে থাকাকালে খুব ভালোভাবে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, এত বছর সমিতি চালিয়েছি কখনও তো সমিতি নিয়ে সমালোচনা হয়নি। আমাদের ঘটনা আমাদের মধ্যে থাকতো, বাইরের মানুষকে জানতেই দিতাম না।
সভাপতি থাকাকালীন সময়ের একটি ঘটনার উদাহরণ টেনে আহমেদ শরীফ জানান, তখনকার দিনে সালমান শাহ’র মতো তুখোড় নায়ককে এক মাসের জন্য ব্যানড করে দিয়েছিলাম। কারণ সে সেটে সময়মতো আসত না, প্রডিউসারদের কষ্ট দিতো, শুটিংয়ে সমস্যা হতো, খরচ বেশি হতো। আবার ১৫ দিন পরে তাকে কাজ করার অনুমতিও দিয়েছি। সমিতিটা একদম গুছিয়ে চালাতাম।
শিল্পী সমিতির নেতাদের উদ্দেশে এই অভিনেতা বলেন, আমার অনুরোধ থাকবে, সংগঠনটির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা এখন চালাচ্ছেন- আপনারা এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে সমিতি লজ্জিত হয়। সমিতিকে আমাদের মাথার মণি করে রাখা উচিত।
প্রসঙ্গত, বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও খল অভিনেতা হিসেবেই সফলতা পান আহমেদ শরীফ। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরের ক্যারিয়ারে আট শতাধিক সিনেমায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি।